৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

বড়লেখায় প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনকৃত জনমিলন কেন্দ্র দেড় বছরেও শেষ হয়নি নির্মাণ কাজ

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৬, ২০১৯

ফেইসবুক শেয়ার করুন

বড়লেখায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনকৃত জনমিলন কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের ৬ বছর পার হলো গত ৯ নভেম্বর। নির্মাণ কাজ সম্পন্নের নির্ধারিত সময়ের বর্ধিত দেড় বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও শেষ হয়নি জনগুরুত্বপুর্ণ সরকারী এ ভবনের নির্মাণ কাজ। গত ২৪ অক্টোবর নির্মাণ কাজের অর্থায়নকারী ও বাস্তাবায়নকারী প্রতিষ্ঠান মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (উপ-সচিব) খোদেজা খাতুন সরেজমিনে কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে গিয়ে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্মাণ কাজ সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে জোর তাগিদ দিয়েছিলেন। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে নির্মাণ কাজ সম্পন্নতো দুরের কথা আগামী ২-৩ মাসেও সম্পন্ন হবে কি-না এ নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।

২০১৩ সালের ৯ নভেম্বর বড়লেখা সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বড়লেখা অডিটোরিয়ামের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। তারও আড়াই বছর পর ২০১৬ সালের ৩০ জুন নির্মাণ কাজ শুরু করে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘এফ.টি এন্ড জে.বি কনষ্ট্রাকশন’।

জানা গেছে, বড়লেখা পৌরসভার নিজস্ব কোন ভবন না থাকায় এর প্রতিষ্ঠালগ্ন ২০০৩ সালের ১৩ মে থেকে বড়লেখা জনমিলন কেন্দ্রটিকে পৌরসভা কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে উপজেলায় সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড অনেকটা ঝিমিয়ে পড়ে। তখন থেকেই একটি আধুনিক অডিটোরিয়াম নির্মাণের দাবী জোরালো হতে থাকে। অবশেষে বড়লেখা উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মধ্যবর্তী ভুমিতে মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ প্রায় ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে অডিটোরয়িাম ভবন নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করে। ২০১৩ সালের ৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারী সফরে গিয়ে বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলায় ৫০ কোটি টাকার কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এরমধ্যে বড়লেখা অডিটোরিয়ামের ভবন নির্মাণ প্রকল্পটিও অর্ন্তভুক্ত ছিল। তাঁর ভিত্তি প্রস্তরকৃত প্রত্যেকটি প্রকল্প অনেক আগেই বাস্তবায়িত হয়েছে। কিন্তু নানা বড়লেখা অডিটোরিয়ামের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের আড়াই বছর পর ২০১৬ সালের ৩০ জুন নির্মাণ কাজ শুরু করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘এফ.টি এন্ড জে.বি কনষ্ট্রাকশন’। ওয়ার্ক অর্ডার অনুযায়ী ২০১৮ সালের ৩০ জুন নির্মাণ কাজ সম্পন্নের জন্য সময় নির্ধারিত ছিল। কিন্তু সিডিউল মোতাবেক নির্ধারিত সময়ে মাত্র ৬০-৭০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়। অসমাপ্ত কাজ সম্পন্নের জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আরো এক বছর সময় বর্ধনের আবেদন করে। চলিত বছরের ৩০ জুন নির্মাণ কাজের বর্ধিত মেয়াদও পার হয়ে যায়। এরপর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দ্বিতীয় দফায় আরো ৬ মাস সময় বর্ধন করে কিন্তু এ সময়েও অডিটোরিয়ামের নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন হয়নি।

গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, নির্মিতব্য অডিটোরিয়ামের মুল ভবনের অনেক স্থানে পলেস্তরা, টাইল্স, সিঁড়ির কাজ অসমাপ্ত রয়েছে। অডিটোরিয়ামের সামনা ৩-৪ ফুট নিচু। মুল ফটকগুলোর কাজ অসমাপ্ত। দ্রুত কাজ চালিয়ে গেলেও ২-৩ মাসের মধ্যে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে না বলে কর্মরত মিস্ত্রিরা জানালেন।

জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলীর মো. সাইদুর রহমান জানান, বর্ধিত সময়ের দেড়বছর পার হলেও ঠিকাদার শতভাগ কাজ সম্পন্ন করেননি। এ পর্যন্ত ৮৫-৯০ ভাগের মতো কাজ সম্পন্ন হয়েছে। দ্রুত কাজ চালালেও আরো ২-৩ মাস লাগতে পারে। অসমাপ্ত কাজ সম্পন্নের জন্য ঠিকাদারকে বর্ধিত সময় দেয়া হবে। তবে এজন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে নিয়ম অনুযায়ী ফাইন দিতে হবে।#

639 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন