২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

আইপিএলে ক্রিকেটারদের দেহে করোনা প্রবেশের চার কারণ

প্রকাশিত: মে ৪, ২০২১

ফেইসবুক শেয়ার করুন

 

নিউজ ডেস্ক:: বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর বন্ধ হয়ে গেছে আইপিএল। কিন্তু জৈব সুরক্ষা বলয়ে থেকেও কীভাবে করোনা প্রবেশ করল ক্রিকেটারদের দেহে? গত মৌসুমে সংযুক্ত আরব আমিরাতে সুরক্ষা বলয় তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ইংল্যান্ডের একটি সংস্থাকে। এবার ভারতে অনুষ্ঠিত আইপিএলে জৈব সুরক্ষা বলয় ছিল নামেমাত্র! যে কারণে পরিস্থিতি এতটা খারাপ পর্যায়ে গেছে যে, টুর্নামেন্টই বন্ধই করে দিতে হয়েছে।

১. জৈব সুরক্ষা বলয় বারবার ভেঙেছে : ভারতের এক শীর্ষ দৈনিক জানিয়েছে, চলতি আইপিএলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জৈব সুরক্ষা বলয় নষ্ট হয়েছে। হোটেল সংরক্ষণের ক্ষেত্রে নিয়ম মানা হয়নি। শোনা যাচ্ছে, একটি দল তাদের ক্রিকেটারদের এমন একটা হোটেলে রেখেছিল, যেটা শপিং মলের ভেতর! অন্য একটি দল পুরো হোটেল সুরক্ষিত করে রাখলেও ভেন্যু পরিবর্তনের কারণে ১২ দিন অন্য শহরে ছিল। কিন্তু সেই ১২ দিন ওই হোটেল তারা সংরক্ষিত রাখেনি! যে কারণে ওই দিনগুলোতে সেই হোটেলে অন্য মানুষের অবাধ যাতায়াত ছিল এবং সুরক্ষা বলয় ভেঙে যায়।
২. মাঠ কর্মীদের জৈব সুরক্ষা বলয়ে না থাকা : অনুশীলন চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন প্রয়োজনে ক্রিকেটারদের মাঠ কর্মীদের সংস্পর্শে আসতে হয়। কিন্তু মাঠ কর্মীরা সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে না থাকায় তাদের থেকেও ক্রিকেটারদের আক্রান্ত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে। এমনটাও শোনা যাচ্ছে, মাঠ কর্মীদের অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে করোনা আক্রান্ত হলেও তাদের দিয়েই কাজ চালিয়ে নিচ্ছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড! যা রীতিমতো আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। ভারতীয় দৈনিকটির মতে, মুম্বাই, চেন্নাই এবং দিল্লিতে এই ঘটনা ঘটেছে।

৩. বারবার শহর বদলানো : এক শহর থেকে অন্য শহরে বারবার যেতে হওয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় সম্ভাবনা কিছুটা বেড়ে যায়। ক্রিকেটারদের যতই সুরক্ষিত করা হোক না কেন, করোনার জীবানু থেকে নিস্তার নেই। যে কারণে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে এক শহর থেকে অন্য শহরে আসার পর ক্রিকেটাররা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

৪. অকেজো জিপিএস ব্যবস্থা : গত মৌসুমে ক্রিকেটারদের গতিবিধি নজরে রাখার জন্য জিপিএসের ব্যবস্থা করা হলেও এ মৌসুমে তা ঠিক ভাবে করা হয়নি। যারা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাদের কাছে একটি দল তাদের ক্রিকেটারদের তথ্য চেয়েছিল। সেই তথ্য যখন এসে পৌঁছায়, তার ২ দিন আগেই সেই শহর ছেড়ে দিয়েছে ওই দল। জিপিএস অকার্যকর থাকায় ক্রিকেটাররা গোপনে জৈব সুরক্ষা বলয় ভাঙলেও তা ধরার উপায় ছিল না।

457 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন