প্রকাশিত: মে ২২, ২০২২
কাঁধের চোটে আগেই নেই তাসকিন আহমেদ। চট্টগ্রামে আঙুলে ব্যথা পেয়ে ছিটকে গেছেন শরিফুল ইসলামও। তার জায়গায় দ্বিতীয় টেস্টের জন্য নতুন কাউকে দলে নেয়নি বাংলাদেশ। ফলে স্কোয়াডে আছেন চার পেসার- খালেদ আহমেদ, এবাদত হোসেন, শহিদুল ইসলাম ও রেজাউর রহমান রাজা।
রোববার থেকে শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় টেস্টে এই চার পেসারের মধ্যে তিনজনকে নিয়েও নেমে যেতে পারে বাংলাদেশ- এমনটাই জানালেন দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক। এটি পুরোপুরি নিশ্চিত করে বলেননি মুমিনুল। তবে মাত্র একজন পেসার নিয়ে যে একাদশ সাজানো হবে না, সেটি জোর দিয়েই বললেন তিনি।
মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ বোলিং করছিলেন হাতের চোটে সিরিজ থেকে ছিটকে যাওয়া মেহেদি হাসান মিরাজ। তাকে শেষ মুহূর্তে দলে নিয়ে সারপ্রাইজের পরিকল্পনা আছে, কি না সেটিও জানতে চাওয়া হয় মুমিনুলের কাছে। তিনি জানিয়েছেন, এমন কোনো ভাবনা নেই দলের।
মিরাজ সামনের দিনগুলোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন জানিয়ে মুমিনুলের ভাষ্য, ‘মিরাজ বোলিং করতে এসেছে সামনের দিনগুলোর প্রস্তুতির জন্য। আমি জানি না আমি অধিনায়ক হওয়ার পর আপনারা এক পেসার পেয়েছিলেন কি না। মনে হয় না এক পেস বোলার খেলবে। এমনও হতে পারে তিনটাও খেলতে পারে।’
তবে দলের অবস্থা জানাচ্ছে, তিন পেসার নিয়ে খেলার সুযোগ খুব একটা নেই মুমিনুলের সামনে। কেননা একে তো মিরপুরের উইকেট সবসময়ই স্পিন সহায়ক। তার ওপর স্কোয়াডে থাকা চার পেসারের দুজনই অনভিষিক্ত। এর মধ্যে রাজা দ্বিতীয় ম্যাচে খেলবেন না- সেটি নিশ্চিত করে দিয়েছেন মুমিনুল।
তাই বলে যে, কখনও পেস বিপ্লব ঘটাতে চান না তিনি, এমনও নয়। টেস্ট দলের অধিনায়ক হিসেবে মুমিনুলের ইচ্ছা, তার দলে একঝাঁক পেসার থাকুক। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘আপনি কোনো একটা জিনিস শুরু করলে মাঝেমাঝে এমন বাধাবিপত্তি আসতে পারে। তাসকিন যতদিন খেলেছে খুব ভালো বল করেছে। সাথে শরিফুলও ভালো অবদান রেখেছে টেস্ট দলে।’
মুমিনুল আরও যোগ করেন, ‘ওদের জায়গায় যারা খেলবে তাদের জন্য এটা বিরাট সুযোগ। সেই সাথে আমার জন্যও একটা সুযোগ ওদের দেখে নেওয়ার। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে আমি চাই আমার এক ঝাঁক পেসার থাকুক, স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা হোক। তাই এটা আমার জন্যও সুযোগ। ভবিষ্যতে টেস্ট দলের জন্য কী করতে পারবে, কীভাবে উন্নতি করতে পারবে এসব আমিও দেখে নিতে পারবো।’
শরিফুল না থাকায় দ্বিতীয় ম্যাচের একাদশে ঢুকে যাচ্ছেন ডানহাতি পেসার এবাদত হোসেন। তিনি জুটি বাঁধবেন আরেক পেসার খালেদকে নিয়ে। তাদের নিয়ে আশাবাদী মন্তব্যে মুমিনুল বলেছেন, ‘আমি সবসময় আশাবাদী থাকতে পছন্দ করি। দক্ষিণ আফ্রিকায় দ্বিতীয় টেস্টে খালেদ অনেক ভালো বল করেছিলো। ওই অনুযায়ী হয়তো ভালো করতে পারেনি (লঙ্কানদের বিপক্ষে)। লেন্থ পিক করতে পারেনি।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘বেশিরভাগ সময় আমরা ঢাকায় প্র্যাকটিস করি। আমার কাছে মনে হয় খালেদ এই কন্ডিশন জানে। আমার মনে হয় এই টেস্টে ও খুব ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াবে। আর এবাদতের জন্যও এটা ভালো সুযোগ, সাথে আমার জন্যও- ওকে দলে রাখার জন্য।’