প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৫, ২০২১
পূর্বাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ রেল জংশনের একটি হলো কুলাউড়া রেলস্টেশন। ২০০৫-০৬ অর্থবছরে কুলাউড়া রেলওয়ে স্টেশনটি রি-মডেলিং করা হলেও এরপর আর কোনো সংস্কার কাজ করা হয়নি। এমনকি স্টেশনটিতে গত দুই বছর যাবৎ নেই কোনো স্টেশন মাস্টার।
এই স্টেশন থেকে একটি শাখা লাইন কুলাউড়া-শাহবাজপুর-মহিশাসন স্টেশন হয়ে ভারতের আসামের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। অথচ অবহেলা ও কড়া নজরদারির অভাবে প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে স্টেশনটি।
বর্তমানে স্টেশনটির চেহারা বিবর্ণ হয়ে পড়েছে। চারজনের স্থলে তিনজন কর্মী স্টেশনের সার্বিক দায়িত্ব পালন করছেন। নেই কোনো টিসিও (টিকেট কালেকটার)। রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীরা গেইটে যাত্রীদের টিকিট সংগ্রহ করেন। স্টেশনের ভেতরে নেই কোনো পাবলিক টয়লেটের ব্যবস্থা।
ট্রেনের জন্য স্টেশন প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষমান যাত্রীদের বসার আসন নেই বললেই চলে। বিদ্যুৎ চলে গেলে প্ল্যাটফর্মে যাত্রীদেরকে অন্ধকারে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। স্বল্প ব্যয়ের সোলার লাইট পর্যন্ত এই স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে লাগানো হয়নি। কড়া নজরদারির অভাবে স্টেশনের প্রবেশ পথে একটি দৃষ্টিনন্দন ফুল বাগান ছিল বর্তমানে বাগানটি দোকানিদের দখলে।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার মহিব উদ্দিন আহমদ একাত্তরকে বলেন, ২০১৯ সালের জুলাই মাস থেকে স্টেশনে মাস্টারের পদটি শূন্য হয়ে রয়েছে। বর্তমানে তিনিই ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টারের পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
স্টেশনে মাস্টারের পদ শূন্য বিষয়টি জানতে রেলের পূর্বাঞ্চলের চীফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট এএম সালাউদ্দিনের মোবাইলে বারবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
সূত্র :একাত্তর