প্রকাশিত: নভেম্বর ২৭, ২০২১
বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটের জন্য ঐতিহাসিক একটি দিন আজ। প্রথমবারের মত নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপে খেলবে বাংলাদেশ। আগামী বছর মার্চ এবং এপ্রিলে নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য ১০ দলের এই বিশ্বকাপ আসরে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটাররা।
করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রণের প্রভাবে জিম্বাবুয়ের রাজধানী হারারেতে চলমান ৯ দলের বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব বাতিল ঘোষণা করেছে আইসিসি।
যার ফলে আইসিসি আগামী মার্চ-এপ্রিলে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপে খেলার জন্য তিনটি দল বাছাই করে নিতে দ্বারস্থ হয়েছে র্যাংকিংয়ের। বাছাই পর্বের প্লেইং কন্ডিশনেই বলা আছে, কোনো কারণে টুর্নামেন্ট বাতিল করা হলে টিম র্যাংকিং ধরে সেরা তিনটি দল বাছাই করা হবে। সে হিসেবে তিনটি দলকে বাছাই করা হয়েছে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বের জন্য। যার মধ্যে বাংলাদেশও যোগ্যতা অর্জন করেছে বিশ্বকাপে খেলার জন্য।
নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা হয়েছে এর আগে। কিন্তু ওয়ানডে বিশ্বকাপে কখনো খেলা হয়নি বাংলাদেশের। এবার নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপে খেলার জন্য শক্তিশালী দল গঠন করেই জিম্বাবুয়ে গিয়েছিল নিগার সুলতানারা। শুধু কাগজে-কলমেই নয়, মাঠের খেলায়ও নিজেদের প্রমাণ করেছেন বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটাররা।
প্রথম ম্যাচেই শক্তিশালী পাকিস্তানকে হারিয়ে দিয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে ২৬৯ রানে হারিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রকে। যদিও তৃতীয় ম্যাচে এসে থাইল্যান্ডের কাছে হোঁচট খেয়েছে। তবুও, ২ জয়ে গ্রুপের শীর্ষেই ছিল বাংলাদেশ।
তবে যেহেতু আইসিসি বাছাই পর্বের ফল নয়, টিম র্যাংকিং ধরে চারটি দল বাছাই করে নিয়েছে, সে হিসেবে বাংলাদেশও উঠে গেছে নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে।
টিম র্যাংকিং অনুসারে বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজও। বাকি দুটি দল বাছাই করা হবে আইসিসি ওমেন চ্যাম্পিয়নশিপের পরের রাউন্ড থেকে।
নারী ওয়ানডে ক্রিকেটের র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ রয়েছে ৫ নম্বরে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সাতে এবং পাকিস্তান রয়েছে আট নম্বরে। ৬ নম্বরে থাকা নিউজিল্যান্ডকে বাছাই পর্ব খেলতে হয়নি স্বাগতিক হওয়ার কারণে। এছাড়া বিশ্বকাপে সরাসরি খেলছে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড এবং ভারত।