প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২১
কুলাউড়া প্রতিনিধিঃঃ
কুলাউড়ায় প্রতিহিংসামূলক একটি পরিবারকে বেকায়দায় ফেলতে সীমানা লঙ্ঘন করে টিলা কেঁটে রাস্তা নির্মাণ করায় মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে একটি পরিবারের পাকা বাড়ি। রাস্তা নির্মাণের ফলে পাকা ঘরের দেয়ালের সন্নিকটে ১০-১২ ফুট গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। যে কোনো সময় বাড়িটি ধ্বসে পড়ে বড় ধরনের দূর্ঘটনার সম্মূখীন হতে পারে পরিবারের সদস্যরা। এ নিয়ে ভোক্তভোগীরা একাধিকবার স্থানীয় এলাকাবাসীর শরনাপন্ন হলেও তা কর্ণপাত করছেনা রাস্তা নির্মাণকারী প্রভাবশালী ওই পরিবার।
জানা যায়, কুলাউড়া উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নের রঙ্গীলকুল গ্রামের ফরিদ খাঁনের পুত্র সোহান খাঁন ২০১৬ সালে তার বসত বাড়ির সীমানার ভিতরে একটি পাকা ঘর নির্মাণ করেন। তার পার্শ্ববর্তী বাড়ির চিনু মিয়া ও তার পুত্র সাজু মিয়া দীর্ঘদিন থেকে তাদের পবিবারের সদস্যদের প্রতিহিংসামূলক নানা হয়রানী করে আসছে। সর্বশেষ সোহান খাঁনের পাকা বসত ঘর ঘেষে গভীর গর্ত করে রাস্তা নির্মাণ শুরু করে করেন চিনু মিয়া গংরা।
যদিও চিনু মিয়াদের যাতায়াতের একটি রাস্তা তাদের বাড়ির দক্ষিণপাশে রয়েছে। বসত ঘরের সীমানার সন্নিকট দিয়ে রাস্তা নির্মাণ বন্ধের জন্য বার বার মৌখিকভাবে অনুরোধ করলেও তারা জোরপূর্বক হিংসামূলক এ রাস্তা তৈরি করে ফেলে। এতে গত কিছুদিন থেকে বৃষ্টি হওয়ায় দেয়ালের পাশ থেকে মাটি ধ্বসে গিয়ে বড় ধরনের গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়েছে ওই বাড়িটি। বাড়ির মালিক টিনের বেড়া দিয়ে মাটি ধরে রাখার নিস্ফল চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি বাড়িটি ধ্বসে পড়ে বড় ধরনের দূর্ঘটনার সম্মূখীন হওয়ার আশংকায় দিনপাত করছেন সোহানের পরিবারের সদস্যরা। টিলা কেটে রাস্তা নির্মাণ বন্ধের প্রতিকার চেয়ে সোহান খাঁন সাজু মিয়া ও তার পিতা চিনু মিয়ার বিরুদ্ধে মৌলভীবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বরাবরে একটি লিখিত দিয়েছেন। পাশাপাশি কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনা(ভূমি) এর কাছে অনুলিপি পাঠিয়েছেন।
মৌলভীবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোঃ নজরুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি জানান, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি সরেজমিন গিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।