১১ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

কুলাউড়ায় ১১০ ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ পাকা ঘর হস্তান্তর

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৩, ২০২১

ফেইসবুক শেয়ার করুন

এস আর অনি চৌধুরী :: কুলাউড়া উপজেলায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের দৃষ্টিনন্দন পাকা ঘর ১১০ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বাস্তবায়নে ও কুলাউড়া উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় শনিবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপকারভোগীদের মধ্যে গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর কুলাউড়া উপজেলা প্রশাসন স্থানীয় উপকারভোগীদের মধ্যে জমিসহ পাকা ঘর হস্তান্তর করেছেন।
কুলাউড়া ইউএনও এটিএম ফরহাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সফি আহমদ সলমান। বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজরাতুন নাঈম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মাও. ফজলুল হক খান সাহেদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেহা ফেরদৌস চৌধুরী পপি, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মোমিন, কুলাউড়া থানার ওসি বিনয় ভূষন রায়, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু, কুলাউড়া প্রেসক্লাব সম্পাদক খালেদ পারভেজ বখশ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা. নুরুল হক, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আজহারুল আলম, পিআইও মো. শিমুল আলী, আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি নওয়াবজাদা আলী ওয়াজেদ খান বাবু, যুক্তরাজ্যস্থ কমিউনিটি নেতা মোস্তফা আব্দুল মালিকসহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যান, সাংবাদিক, শিক্ষকসহ উপকারভোগীরা।
অনুষ্ঠানে মুজিববর্ষ উপলক্ষে উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির মাধ্যমে তালিকাভুক্ত ৮টি ইউনিয়নের সরকারের খাস জমিতে নির্মিত ১১০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে ৫৪ পরিবারের মধ্যে ২ শতাংশ খাস ভূমির মালিকানার কাগজপত্রসহ পাকা গৃহ হস্তান্তর করা হয়।
কুলাউড়া ইউএনও এটিএম ফরহাদ চৌধুরী জানান, তালিকাভুক্ত অপর উপকারভোগীদের মধ্যে পরবর্তীতে ২ শতাংশ খাস ভূমির মালিকানার কাগজপত্রসহ পাকা গৃহ হস্তান্তর করা হবে। তিনি আরও জানান, উপজেলার ৮ ইউনিয়নের মধ্যে সীমান্তবর্তী শরীফপুর ইউনিয়নে ৩০টি, পৃথিমপাশা ইউনিয়নে ৩৩টি, রাউৎগাঁও ইউনিয়নে ১২টি, হাজীপুর ইউনিয়নে ৮টি, জয়চন্ডী ইউনিয়নে ৫টি, কর্মধা ইউনিয়নে ৩টি, টিলাগাঁও ইউনিয়নে ১৫ এবং ভাটেরা ইউনিয়নে ৪টিসহ মোট ১১০টি ঘরের প্রত্যেকটি পাকা ঘর নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা।

772 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন