প্রকাশিত: নভেম্বর ১৮, ২০২০
ডেক্স রিপোর্টঃ মৌলভীবাজার-২ আসনের সাবেক এমপি, বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মরহুম আব্দুল জব্বারের ৭৫তম জন্মজয়ন্তী আলোচনাসভা, মিলাদ ও কেক কাটার মধ্যে দিয়ে পালন করা হয়েছে। এছাড়া সাবেক সাংসদের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।
আব্দুল জব্বারে স্মৃতি ফাউন্ডেশনের আয়োজনে মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কুলাউড়া স্মৃতিসৌধের বিজয় মঞ্চে অনুষ্ঠিত জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় আ’লীগের সাবেক সদস্য ও কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুর রহমান বলেন কুলাউড়া থানা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জব্বার আমৃত্যু বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে ও তার আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য জেল-জুলুম, নির্যাতন উপেক্ষা করে বাংলার গণমানুষের মুক্তির লক্ষ্যে কাজ করে গেছেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপরিবারে হত্যার ঘটনায় প্রতিবাদ করায় আব্দুল জব্বারকে একাধিকবার গ্রেপ্তার করে অমানুষিক নির্যতন করে দীর্ঘদিন কারাগারে রাখা হয়। জেলের অভ্যন্তরে বঙ্গবন্ধুর প্রধান খুনি মেজর নুর তাকে অমানুষিক নির্যাতন করে। এমনকি তাকে হত্যা করতে উদ্যত হয়।
সভায় স্মৃতিচারণ করে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু, মরহুম আব্দুল জব্বারের পুত্র, প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার আবু জাফর রাজু ও অপর পুত্র উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আসম কামরুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেহা ফেরদৌস চৌধুরী পপি ও কুলাউড়ার পৌর মেয়র শফি আলম ইউনুস।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম ফরহাদ চৌধুরী, কুলাউড়া থানার ওসি বিনয় ভূষণ রায়, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা গৌরা দে, লন্ডন আ’লীগের তথ্য বিষয়ক সম্পাদক কামাল হাসান, অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ, পৃথিমপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নবাব আলী বাকর খান, ব্রাহ্মনবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মমদুদ হোসেন, কাদিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, ভাটেরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, কর্মধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম এ রহমান আতিক, রাউৎগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল জামালসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
উল্লেখ্য, জাতির পিতার স্নেহধন্য আব্দুল জব্বার ১৯৬২ এর শিক্ষা-আন্দোলন, ‘৬৬ এর ছয় দফা, ‘৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ‘৭০ এর নির্বাচন, ‘৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ, ‘৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনসহ দেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। তিনি বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি, মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি এবং ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে গৌরবজনক ভূমিকার জন্য ২০২০ সালে তাঁকে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করা হয়।