প্রকাশিত: নভেম্বর ৯, ২০২০
সংবাদ ডেস্ক :: তাঁর পুরো নাম মো: আলমগীর হোসেন। বর্তমানে কর্মরত আছেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের রিজার্ভ অফিস শাখায়। মূল চাকুরীর পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরেই অনলাইন সচেতনতা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
বর্তমান সময়ে অনলাইনের ব্যবহারকারী বাড়ার সাথেসাথে বেড়েছে অনলাইন নির্ভর অপরাধও। বিশেষ করে হ্যাকিং এর মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়া, ব্ল্যাকমেইলিং, ফেইক আইডি, ফেইসবুক আইডি হ্যাক ছবি বা ভিডিওর মাধ্যমে ব্যক্তির সম্মানহানি বর্তমানে সাইবার ব্যবহারকারীদের নিকট মূর্তিমান আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার জন্য এসব অপরাধে যুক্ত আসামিদের আইনের আওতায় আনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্যও কঠিন হয়ে পড়ে। এছাড়াও এদের একটি বড় অংশের বাস দেশের বাইরে। সেখান থেকেই নির্বিঘ্নে এসব কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে দিনের পর দিন। তাই একমাত্র সাইবার সচেতনতাই পারে এই সমস্যার মূলোৎপাটন করতে।
এই প্রসঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন বলেন, যেহেতু আমি দীর্ঘদিন ধরেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে কাজ করছি, তাই সাইবার অপরাধের শিকার হয়ে অনেককেই চোখের পানি ফেলতে দেখেছি আর সোশ্যাল মিডিয়াতে তো অহরহ দেখতেই পাচ্ছি। আমি নিজেও চোঁখের পানি ফেলেছি। দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করা আমার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট একদল অসাধু স্পামার এবং হ্যাকার টার্গেট করে নষ্ট করে দেয়। এক্ষেত্রে আমার অপরাধ ছিল সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত সচেতনতা সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে লেখালেখি করা। আমি নিজেই যেদিন শিকারে পরিণত হলাম, সেদিন থেকেই সাইবার অপরাধ এবং সুরক্ষা নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচারনা পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিই। বর্তমানে আমি ভুক্তভোগী মানুষসহ সাধারণ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদেরকে এই মাধ্যম কিভাবে নিরাপদ রাখতে হয়, সে বিষয়ে আমার সাধ্য অনুযায়ী সঠিক পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
একইভাবে শুধু সচেতনতার অভাবে বিকাশ হ্যাকিং এর মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে হারাচ্ছেন নিরীহ মানুষ। পুলিশ অনেক ক্ষেত্রেই ঘটনা উদঘাটন করছে কিন্তু সাইবার সচেতনতা নিশ্চিত না করতে পারলে গ্রামের কম শিক্ষিত এসব মানুষকে বিপদমুক্ত রাখা কোনভাবেই সম্ভব হবে না। এ জন্যই মূলত আমি সাইবার সচেতনতা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।
উল্লেখ্য, মো. আলমগীর হোসেন খাগড়াছড়ি জেলার একজন স্থায়ী বাসিন্দা। পুলিশে যোগদানের পূর্বে তিনি খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজে পড়াশুনা করেন।