প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২০, ২০১৯
ডেক্স রিপোর্টঃ বাঙালির জাতীয় জীবনে একুশে ফেব্রুয়ারি ইতিহাসের স্মরণীয় দিনের বায়ান্নোর সেই রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় মেয়েদের আন্দোলনের মিছিলে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে নেতৃত্বদানকারী মরহুমা রওশন আরা বাচ্চুর ৮৭ তম জন্ম বর্ষিকী গত ১৭ ডিসেম্বর কুলাউড়া উপজেলা শহরের উচলাপাড়াস্থ তার বাসভবনে পালিত হয়েছে। জম্মদিনের শুরুতে তার কবরে পুষ্প স্তবক অর্পন করা হয়। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কুলাউড়া পৌরসভার মেয়র শফি আলম ইউনূস, ঢাকাস্থ কুলাউড়া সমিতির নেতৃবৃন্দ,পরিবারবর্গ,কুলাউড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক ও বিভিন্ন শ্রেণী,পেশার জনগন।
পরে কুলাউড়া পৌর মেয়রের কাছে সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালু,বাংলা তারিখের প্রচলনসহ কুলাউড়ার সকল সাইনবোর্ড বাংলায় লেখা,ভাষাসৈনিকের নামে রাস্তা নামকরন,তার এজমালী বাড়ী ও পুকুর রাসহ বিভিন্ন দাবী সম্বলিত স্মারক লিপি প্রদান করেন তার মেয়ে তানভীর ফারহানা তুনা এবং অপর ভাষাসৈনিক ছালেহা বেগমের বড় মেয়ে এডভোকেট সৈয়দা ফেরদৌস আরা,ছোট মেয়ে এডভোকেট সৈয়দা ফরিদা আক্তার ও বড় ছেলে “শিশুদের বন্ধু’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সৈয়দ শাকিল আহাদ ও ৫২ র ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি রা পরিষদের নেতৃবৃন্দ এবং কুলাউড়ার জীবিত ভাষাসৈনিক আব্দুর রাজজাক।
উল্লেখ্য আসাম প্রদেশের হাই কমিশনার খান বাহাদুর আলী আমজদ এর নাতনী,কুলাউড়া উপজেলার সাবেক সাবরেজিষ্টার আসব আলী খান এর বড় মেয়ে রওশন আরা বাচ্চু গত ৩ ডিসেম্বর ঢাকায় ইন্তেকাল করেন। পরদিন তার লাশ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় কুলাউড়া শহরস্থ তার নিজ পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়। তিনি ১৯৩২ সালের ১৭ই ডিসেম্বর কুলাউড়া উপজেলার উছলাপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাল্যকালের শিক্ষাজীবন তার নিজ উপজেলায় শেষ করে পরবর্তীতে পিরোজপুর গার্লস স্কুল থেকে ম্যাট্রিক,বরিশালের ব্রজমোহন কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করে ১৯৫৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে অনার্স ও পরে ইতিহাসে এমএ সম্পন্ন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিনগুলোতেই রওশন আরা গণতান্ত্রিক প্রোগ্রেসিভ ফ্রন্টে যোগ দিয়ে ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ঐ সময়ে তিনি সলিমুল্লাহ মুসলিম হল এবং উইম্যান স্টুডেন্টস রেসিডেন্সের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার মরহুম স্বামী এস এ ওয়াহেদ বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের ডাইরেক্টার ছিলেন।