২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার

কুলাউড়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর হামলা থানায় অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পায়নি

প্রকাশিত: মে ১০, ২০২১

ফেইসবুক শেয়ার করুন

কুলাউড়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর হামলা
থানায় অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পায়নি

কুলাউড়া প্রতিনিধি ::
কুলাউড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের গাজীপুর চা বাগানে একটি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর দু’দফা হামলা ও ঘরবাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ একটি মাদকসেবি চক্রের বিরুদ্ধে। হামলার ঘটনায় কুলাউড়া থানায় পৃথক অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পায়নি পরিবারটি। ফলে ওই পরিবারটি উদ্বেগ উৎকন্ঠায় দিনযাপন করছে।
ওই পরিবারের বর্নণা মতে গত ১৪ এপ্রিল বিকেলে প্রথমবার এবং ২৪ এপ্রিল শনিবার রাত আনুমানিক ৯টায় দ্বিতীয়বার মাদকসেবিরা হামলা চালায়।
থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ থেকে জানা যায়, গাজীপুর গাঙপাড় এলাকার জীবান মিয়া, রাজিব মিয়া, রাজন মিয়া এবং তাদের সহযোগি মিরবক্সপুর গ্রামের রাহেল মিয়া, জায়েদ মিয়া এরা এলাকার চিহ্নিত মাদকসেবি। গত ১৪ এপ্রিল বাগানের বাসিন্দা প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা চন্দন বৈদ্য করের ছেলে মধু বৈদ্যকরকে বাগান থেকে গাজা কিনে দেয়ার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু মধু তাদের কথায় রাজি না হলে মাদকসেবিরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এসময় মধুকে বাঁচাতে তার মা ও বোন এগিয়ে এলে তাদেরকে মারপিট ও শ্লীলতাহানী করে। হামলায় মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী লক্ষী বৈদ্যকর (৬৫), মেয়ে সন্ধ্যা রানী কর (৩৯) ও মধু বৈদ্যকর (২৪), আহত হয়। ঘটনার সময় স্থানীয় লোকজন আহতদের চিৎকারে এগিয়ে আসে এবং তাদের উদ্ধার করে কুলাউড়া হাসপাতালে ভর্তি করে। হামলাকালে মাদকসেবিরা প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার বাড়িঘর ভাঙচুর করে। এঘটনায় লক্ষী বৈদ্য কর কুলাউড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
উক্ত ঘটনার জের ধরে শনিবার ২৪ এপ্রিল রাতে উক্ত মাদকসেবি চক্র প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার অপর ছেলে রাজু বৈদ্যকর (২৩)কে গাজীপুর বাজারে প্রকাশ্যে হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। হামলার এক পর্যায়ে সিএনজি অটোরিক্সায় তুলে নিয়ে যেতে চাইলে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুলাউড়া হাসপাতালে এবং তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এঘটনায় আহতের ভাই মধু বৈদ্যকর কুলাউড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।
মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে সন্ধ্যা রানী কর অভিযোগ করেন, দু’দফা হামলা হলো, থানায় অভিযোগও দিলাম। কিন্তু পুলিশ রহস্যময় কারণে আসামী গ্রেফতার করছে না। পুলিশ যদি একটি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ব্যাপারে আইনী ব্যবস্থা না নেয়. তাহলে বিচার চাইবো কার কাছে?
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিনয় ভূষন রায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন এবং অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও তিনি জানান।#

308 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন