প্রকাশিত: মে ২, ২০২১
নিউজ ডেক্স:: দেশে গণপরিবহন চালু করতে দেওয়াসহ তিন দাবিতে রাজধানীর বিভিন্ন বাস টার্মিনালে বিক্ষোভ মিছিল করছেন পরিবহন শ্রমিকরা।
আজ রবিবার (২ মে) সকাল ১০টার পর থেকেই রাজধানীর সায়েদাবাদ, ফুলবাড়িয়া, গাবতলী, মহাখালী বাস টার্মিনালে জড়ো হতে থাকেন পরিবহন শ্রমিকরা। দাবিসম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুন হাতে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল অংশ নেন তাঁরা।
যে তিন দাবিতে পরিবহন শ্রমিকরা এ কর্মসূচি পালন করছেন সেগুলো হলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে নৌ-পরিবহন ও পণ্য পরিবহন চলাচলের ব্যবস্থা করা, সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের আর্থিক অনুদান ও খাদ্যসহায়তা দেওয়া এবং সারা দেশে বাস ও ট্রাক টার্মিনালগুলোতে পরিবহন শ্রমিকদের জন্য ১০ টাকায় ওএমএসের চাল বিক্রির ব্যবস্থা করা।
কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত সারা দেশের ২৪৯টি পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন। আগামী মঙ্গলবার (৪ মে) সারা দেশে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করার কথা রয়েছে পরিবহন শ্রমিকদের।
গত শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সংবাদ সম্মেলন থেকে এই কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়।
ওই সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী বলেন, বাংলাদেশে সড়ক পথে প্রায় ৭৫ শতাংশ যাত্রী ও ৬৫ শতাংশ পরিবহন হয়ে থাকে। এ খাতে প্রতিদিন ৫০ লাখ পরিবহন শ্রমিক কাজ করে থাকে। করোনায় মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য সরকার লকডাউন ঘোষণা করেছে। আমরা লকডাউন বিরোধিতা করছি না। কথা ছিল, লকডাউনের সময় মানুষের চলাচল, শ্রমঘন শিল্প, হাট-বাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কোর্ট-কাচারি সব বন্ধ থাকবে। সেই হিসেবে গণপরিবহণ বন্ধ থাকলে পরিবহন শ্রমিকের কোনো আপত্তি ছিল না। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সবকিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে লকডাউন শিথিল করায় গার্মেন্ট, শপিং মল, কাঁচা বাজার, অফিস আদালত চলছে।
ওসমান আলী আরো বলেন, করোনা সংক্রমণরোধে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রেখেছে সরকার। এতে এ খাতের ৫০ লাখ শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে তাঁরা দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। ফলে সড়ক পরিবহন শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে আসলে তার দায়-দায়িত্ব বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন বহন করবে না।