প্রকাশিত: মার্চ ৬, ২০২১
করোনা মহামারি মোকাবিলায় কর্মদক্ষতা ও নেতৃত্বের জন্য বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলেও সঠিক সময়েই সচল করে দিয়েছেন জীবিকার চাকা। আর্থিক সহযোগিতা থেকে শুরু করে করোনাকে জয় করার সাহস যুগিয়েছেন তিনি। স্বল্পতম সময়ের মধ্যে টিকা সরবরাহ করে তিনি বাংলাদেশকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছেন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ভূমিকার প্রশংসা আজ বিশ্ব দরবারে।
করোনা মোকাবিলায় কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে নেতৃত্ব দেওয়া শীর্ষ তিন সফল নারী নেতার তালিকায় রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বিষয়ে কমনওয়েলথের মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড কিউসি বলেন, আমি কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে তিনজন বিস্ময়কর নারী নেতার কথা উল্লেখ করতে চাই, যারা করোনাকালে সফলভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তারা হলেন—নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন, বার্বাডোসের প্রধানমন্ত্রী মিয়া আমোর মোটলি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতীয় সংসদ, সরকারের মন্ত্রী ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ শেখ হাসিনার নেতৃত্বের মূল্যায়ন করেছেন। তারা বলছেন, করোনা মহামারির মধ্যে দেশের মানুষের জীবন-জীবিকা দুটোই বেঁচেছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। শুধু সাধারণ ছুটি ও চলাফেরায় নিষেধাজ্ঞা দিয়ে নয়, নির্দিষ্ট সময়ে চলাফেরার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য সচল করে দেওয়া ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সবচেয়ে বড় বিচক্ষণতা-দক্ষতা। আবিষ্কারের স্বল্প সময়ের মধ্যেই দেশের মানুষের জন্য টিকা সরবরাহ করে তিনি অনন্য নজির স্থাপন করেছেন।
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে করোনা সংকটের মধ্যেও সর্বস্তরের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ে দরিদ্র জনগণ যেন অনাহারে মৃত্যুবরণ না করে সেজন্য সঠিক সময়ে খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ করেছে সরকার। তার সময়োপযোগী পদক্ষেপে বাংলাদেশের জীবনযাত্রা ও ব্যবসা-বাণিজ্য বর্তমানে স্বাভাবিক গতিতে চলছে। করোনায় বাংলাদেশে মৃত্যুহার তুলনামূলকভাবে কম।
জাতীয় সংসদের সরকারদলীয় হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার শপথ ও দায়বদ্ধতার প্রতি শতভাগ কমিটেড। তিনি পরম বিচক্ষণতা ও অন্তর্নিহিত শক্তি দিয়ে প্রতিনিয়ত বিশ্ব করোনা পরিস্থিতি অবলোকন করেছেন। বাংলাদেশের জনগণের আর্থ সামাজিক অবস্থা, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীলতার মাত্রা, শিক্ষার হার, মন-মানসিকতা মাথায় রেখে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞের নানাবিধ পরামর্শ গ্রহণ করে এককভাবে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এবং বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া মনিটরিং করেছেন।
তিনি বলেন, ভয়াবহ করোনা আমাদের দেশে অপেক্ষাকৃত কম ছোবল মারতে পেরেছে। শেখ হাসিনার পরম বিচক্ষণতায় মানুষ এবং অর্থনীতি দুই-ই রক্ষা পেয়েছে। তার সময়োচিত সাহসী ও বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করার সক্ষমতা বিশ্বের অন্যান্য সরকারপ্রধানের চেয়ে অনেক উঁচু মানের।
সরকারের নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, করোনা সংকটে প্রধানমন্ত্রীর লিডারশিপ বিশ্ব রাজনীতিতে আরও উচ্চতায় পৌঁছেছে। বাংলাদেশের রোগ বিশেষজ্ঞ, রাজনৈতিক নেতা ও সুশীলরা বলেছিলেন, কোটি কোটি মানুষ মারা যাবে, অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে, উন্নয়ন থেমে যাবে। আজকের বাস্তবতা হচ্ছে বাংলাদেশে মৃত্যুর হার সবচেয়ে কম। করোনা নামে যে একটি মহামারি পৃথিবীতে চলছে বাংলাদেশের গ্রাম ঘুরলে বোঝা সম্ভব না। এই যে মানুষ সাহসী হয়ে উঠলো, সে সাহস যুগিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের মানুষ নিরাপদ বোধ করছে, এটাও সম্ভব হয়েছে তার জন্য ।