ডেস্ক সংবাদ ঃঃ অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) ভবিষ্যতে আরও বেশি প্রাণঘাতী মহামারির কারণ হতে পারে বলে আশঙ্কা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) রাতে ‘হাই লেভেল ইন্টার-একটিভ ডায়ালগ অন অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ভিডিওবার্তায় এ আশঙ্কা জানান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, গোটা বিশ্ব এখন ধ্বংসাত্মক কোভিড-১৯ মহামারি প্রত্যক্ষ করছে। অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স ভবিষ্যতে আরও বেশি প্রাণঘাতী মহামারির কারণ হতে পারে। ভবিষ্যতের মহামারি প্রতিরোধে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা জরুরি। আমাদের ২০১৫ সালের গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যান, ২০১৬ সালের ইউএন পলিটিক্যাল ডিক্লারেশন ও এএমআরের সমস্যা মোকাবিলার জন্য জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে।

তিনি বলেন, এ বিপদ (অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স) সময়মতো সামলাতে না পারলে পরিণামে মানবজীবন, প্রাণী ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমান অনুযায়ী ২০৫০ সাল নাগাদ অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সের কারণে প্রতি বছর ১ কোটি মানুষ মারা যাবে। এছাড়া অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার, যা খাদ্য নিরাপত্তা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।

এ সময় অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সের (এএমআর) গ্লোবাল লিডার্স গ্রুপের সহ-সভাপতি হিসেবে এএমআর-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সব স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কাজ করতে নিজের আগ্রহের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।

অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স-এর বিপদ সামলাতে পাঁচ প্রস্তাবনা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। তিনি তার প্রথম প্রস্তাবনায় স্বল্প ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে বিশেষ মনযোগ দিয়ে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক- উভয় স্তরে এএমআর বিষয়ে সমন্বিত বহু-বিভাগীয় এবং সম্মিলিত কর্ম পরিকল্পনা নেওয়ার আহ্বান জানান।

দ্বিতীয় প্রস্তাবে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স প্রতিরোধ করতে ভালো উৎপাদন, পরীক্ষাগার অনুশীলন এবং নজরদারি কাঠামোর কথা বলেন শেখ হাসিনা। তৃতীয় প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী সবার জন্য সাশ্রয়ী এবং কার্যকর অ্যান্টিবায়োটিকস সরবরাহ নিশ্চিত করতে বলেন। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে মালিকানা শেয়ার এবং প্রযুক্তি হস্তান্তর করার কথা বলেন।

চতুর্থ ও পঞ্চম প্রস্তাবনায় শেখ হাসিনা রাজনৈতিক অঙ্গীকার এবং সদস্য দেশগুলোর মধ্যে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এএমআর প্রতিরোধ কার্যক্রমের জন্য টেকসই অর্থায়ন এবং এটির (এএমআর) বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সারা বিশ্বের মানুষের সচেতনতা সৃষ্টির কথা বলেন।