স্টাফ রিপোর্টার ::সিলেট-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে প্রার্থীতা নিয়ে পাল্টে যাচ্ছে সকল হিসেব-নিকেশ। শেষ সময়ে এসে খোদ প্রয়াত সংসদ সদস্য কয়েস চৌধূরীর স্ত্রী প্রার্থী হতে ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। এর ফলে শুন্য এই আসনে ফারজানা সামাদের প্রার্থীতা বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া গেল। প্রার্থীতা নিশ্চিত করে সর্বস্তরের জনগণের সমর্থন ও সহযোগিতা চেয়েছেন সদ্য প্রয়াত সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী এমপির এই সহধর্মিণী। তিনি বলেন, স্বামীর জনপ্রিয়তাকে পূঁজি করে তাঁর অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন এবং ওই আসনের সকল শ্রেণী-পেশার ভোটারদের দাবীর প্রতি একাত্বতা প্রকাশ করে প্রার্থী হতে আগ্রহ প্রকাশ করি।

নিজের প্রার্থীতার স্বপক্ষে যুক্তি তুলে ধরে ফারজানা চৌধুরী বলেন, বিগত প্রায় ৪ দশক সিলেট-৩ নির্বাচনী এলাকা তথা দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জের আপামর জনতার সুখ-দুখের সাথী ছিলেন সদ্য প্রয়াত সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী। দীর্ঘ এই সময়ের পরিক্রমায় এই জনপদের মাটি ও মানুষের শুধু নেতা হিসেবে নয়, একজন সুহৃদ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদান্যতায় ও উদার সহযোগিতায় মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরী তার নির্বাচনী এলাকায় বিপুল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড শুরু করেছিলেন, যার অনেকগুলো ইতোমধ্যে সফল ও সুচারুরূপে সম্পন্ন হয়েছে এবং অনেকগুলোর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

গণমাধ্যমকে ফারজানা চৌধুরী বলেন, মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর জীবদ্দশায় তার জীবন সঙ্গিনী হিসেবে তার সকল কর্মকাণ্ডে অতীতে যেমন পাশে ছিলাম, আগামী দিনেও একই ভাবে দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জবাসীর কাছে থাকতে আমি আগ্রহী। শেখ হাসিনার নির্দেশ ও আশীর্বাদ পেলে মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী এমপির অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজগুলো সুচারুরূপে সম্পন্ন করতে আমি আগামী দিনে সিলেট-৩ নির্বাচনী এলাকার জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে ভূমিকা রাখতে আগ্রহী। আমার আগামী দিনের পথচলায় সিলেট-৩ নির্বাচনী এলাকার সর্বস্তরের মানুষের দোয়া, সমর্থন ও সহযোগিতা একান্তভাবে কামনা করছি।

তিনি বলেন, পরম করুণাময়ের ইচ্ছায় সিলেট-৩ আসনের গণমানুষের নেতা, এই জনপদের পরপর ৩ বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী আকস্মিকভাবে আমাদেরকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে পরপারে পাড়ি দিয়েছেন। আমার জীবনের সবচেয়ে বেদনাবিদুর এই সময়টিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর নেতৃত্বাধীন সদাশয় সরকার এবং সিলেট-৩ আসনের আপনার জনতাসহ সর্বস্তরের সিলেটবাসী আমি ও আমার পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা ও সহযোগিতা প্রদান করেছেন। শোকে স্তব্ধ আমি ও আমার সন্তানসহ প্রয়াত এমপি মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরীর পুরো পরিবার ও স্বজনরা এজন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞ ও চির ঋণী। সবার কাছে, আমি ব্যক্তিগতভাবে দোয়া প্রার্থী আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যেন আমাদেরকে এই শোক কাটিয়ে উঠার শক্তি দান করেন।

তিনি বলেন, দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলাবাসীর প্রাণের মানুষ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর অবর্তমানে তার স্বপ্নের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড যেন গতিরুদ্ধ না হয়, সেটি নিশ্চিত করা সময়ের দাবি। মাহমুদ উস সামাদের আকস্মিক মৃত্যুতে যে শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে, তা অপূরণীয়। এরপরও জীবন থেমে থাকে না। সময়ের প্রয়োজনে দায়িত্ব গ্রহণে এগিয়ে যাওয়াই চিরন্তন সত্য। এই সত্যের প্রেক্ষিতে সময়ের প্রয়োজনে আমি ব্যক্তিগতভাবে দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জবাসীর পাশে থাকতে চাই।

উল্লেখ্য,মাহমুদ উস সামাদ ফারজানা চৌধুরী হাইস্কুল এন্ড কলেজের সহ প্রতিষ্ঠাতা ফারজানা সামাদ চৌধুরী।