ডেক্স রিপোর্টঃ কুলাউড়া উপজেলায় আরো ৪ জন নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) সনাক্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। সনাক্তদের মধ্যে পুর্বের লকডাউন করা গ্রামের এক বাড়ীর বয়স্ক গৃহকর্তা ও তার নাতনী এবং শহরে লকডাউন করা ২ সরকারী চাকুরীজীবি। রোববার রাতে নুতন ৪ জনের পজেটিভ রিপোর্ট পাওয়ার পর রাতেই প্রশাসন সনাক্তদের মধ্যে নানা-নাতনী ২ জনকে গ্রামের বাড়ীতে আইসোলেশনে ও সরকারী চাকুরীজীবি ২ জনকে সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায় গত ২২ এপ্রিল কুলাউড়া থানা পুলিশের সদস্য মোঃ শাহজাহান আলী (২৫) ও কাদিপুর ইউনিয়নের ফরিদপুর নিবাসী গৃহিনী দিলারা বেগম (৬০) এর সংগৃহিত নমুনা রিপোর্টে ২ জনের রিপোর্ট পজেটিভ পাওয়া যায়। পরে রাতেই উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য বিভাগ ফরিদপুর এলাকার উক্ত মহিলার বাড়ীসহ আশপাশের ৮ টি বাড়ী লকডাউন এবং কুলাউড়া থানার পাশ^বর্তী মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে অবস্থানকারী পুলিশ সদস্য শাহজাহানসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের মুক্তিযোদ্ধা ভবন লকডাউন ঘোষনা করা হয়। পরদিন লকডাউন করা মুক্তিযোদ্ধা ভবনে অবস্থানরত ১৭ জন পুলিশ সদস্যদের এবং ফরিদপুর নিবাসী গৃহিনী দিলারা বেগমের পরিবারের ৭ জন সদস্যসহ মোট ২৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ২৩ এপ্রিল সিলেট ল্যাবে পাঠানো হয়। ল্যাবে প্রেরিত উক্ত ২৪ জনের মধ্যে ২৬ এপ্রিল রোববার রাতে কুলাউড়া হাসপাতালে কুলাউড়া থানার ২ পুলিশ সদস্য ইমাদ আলী (২৪) ও নুরুল ইসলাম (২৪) এবং ফরিদপুর এলাকার দীর্ঘদিনের শ^াসকষ্টসহ জটিল রোগে শয্যাশায়ী ইয়াছিন আলী (৭২) ও তার নাতনী জুই আক্তার (১৩)সহ ৪ জনের রিপোর্ট পজেটিভ আসে।
কুলাউড়া উপজেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ নুরুল হক জানান করোনা সনাক্ত পুর্বের ২ জন ও নুতন ৪ রোগীসহ মোট ৬জন সবাই সুস্থ রয়েছে। তবে নমুনা পরীক্ষায় যেহেতু তাদের পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে সেহেতু তাদেরকে স্বাস্থ্যবিধিনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।