ডেক্স রিপোর্ট ঃ কুলাউড়া উপজেলা বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্রের ঘাগটিয়া ও নার্সারি ফিডারের ২ টি এসিআর দীর্ঘদিন যাবৎ বিকল হয়ে পড়ে থাকায় উক্ত ফিডারের হাজার হাজার গ্রাহকদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
জানা যায় কুলাউড়া বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্রের সর্ববৃহৎ ইসলামগঞ্জ ফিডারের হাজার হাজার গ্রাহকদের বিদ্যুৎ ভোগান্তি লাঘবে বিগত ৪/৫ বছর পুর্বে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট অঞ্চলের তৎকালীন প্রধান প্রকৌশলী রতন কুমার বিশ^াস এর দায়িত্বকালীন সময়ে তারই প্রচেষ্টায় উক্ত ফিডারকে ৩ ভাগে বিভক্ত করে ঘাগটিয়া, নার্সারি ও কাদিপুর ফিডার করা হয়। পরবর্তীতে উক্ত প্রধান প্রকৌশলীর প্রচেষ্টায় ঘাগটিয়া ফিডারের ঘাগটিয়া প্রাইমারী স্কুলের সন্নিকটে একটি ‘এসিআর’ ও নার্সারী ফিডারে শহরের উত্তর রেল ক্রসিং সংলগ্নস্থানে অপর একটি ‘এসিআর’ স্থাপন করা হয়। বিদ্যুৎ গ্রাহকরা বছর দু’এক ‘এসিআর’ এর সুফল ভোগ করার পর স্থানীয় বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতায় ও যথাযথ রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে উক্ত ‘এসিআর’ দুটি বিকল হয়ে যায়। এদিকে উক্ত প্রধান প্রকৌশলী চাকুরী থেকে অবসরে চলে যান। এরপর থেকে বিদ্যুৎ বিভাগের উর্দ্ধতন ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ উক্ত ‘এসিআর’ দুটি মেরামত বা নুতন করে স্থাপন না করে ঘাগটিয়া ও নার্সারি ফিডারকে একই সাথে সংযুক্ত করে দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করায় উক্ত ফিডারের আওতাধীন বিভিন্ন চা-বাগান ও ছোট-বড় কল-কারখানা, পোলট্রি খামার, বাজার-হাট, ব্যবসা প্রতিষ্টানসহ হাজার হাজার গ্রাহকদের প্রতিদিন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কবলে পড়ে দিনে-রাতে দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎহীনতায় চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। অপরদিকে বিদ্যুৎ বিভাগ প্রতি মাসে বিরাট অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এছাড়া ঘাগটিয়া ফিডারের বিদ্যুৎ লাইনের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীর দায়িত্বহীনতায় নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে ল্ইানের গাছের ডাল-পালা কর্ত্তন না করায় ও যথাযথ তদারকির অভাবে প্রতিদিন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে গ্রাহকদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এ অবস্থার উন্নতি না হলে আসন্ন রমজান মাসসহ বর্ষা মৌসুমে নিত্যদিনের বিদ্যুৎ বিভ্রাটসহ গ্রাহকদের দিনের পর দিন, রাতের পর রাত চরম ভোগান্তি পোহাতে হবে। এ ব্যাপারে গ্রাহকরা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের স্বার্থে উক্ত ‘এসিআর’ দুটি পুনঃস্থাপনসহ জরুরী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।