২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

যুক্তরাষ্ট্র থেকে এলো রেলের ৮ ইঞ্জিন

প্রকাশিত: মার্চ ৬, ২০২১

রেলের ৮ ইঞ্জিন
ফেইসবুক শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রথম চালানের ৮টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে। শনিবার (৬ মার্চ) সকাল থেকে বন্দরের বার্থে ট্রেনের ইঞ্জিন খালাস শুরু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চিফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার মো. বোরহান উদ্দিন জানান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৪০টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভ আনা হচ্ছে। ৫ ধাপে এগুলো দেশে আসবে।

তিনি জানান, প্রথম ধাপে ৮টি লোকোমোটিভ বন্দরে এসে পৌঁছেছে। ক্রেনের মাধ্যমে সতর্কতার সঙ্গে জাহাজ থেকে এগুলো নামানো হচ্ছে।

জাপান ছেড়েছে ঢাকার মেট্রো ট্রেন

রাজধানীর উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের জন্য একটি ট্রেন সেট জাপানের কোবে বন্দর থেকে বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় জাহাজে করে রওনা দিয়েছে। একে একে প্রথম ধাপে পাঁচটি ট্রেন আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ঢাকায় এসে পৌঁছাবে।

দেশে মেট্রোরেলের সেটগুলো আনার আগে সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ডিএমটিসিএলের একটি বিশেষজ্ঞ দলের জাপান যাওয়ার কথা ছিল। করোনা পরিস্থিতির ফলে জাপান ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এ কারণে ট্রেনগুলো জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানির মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়েছে ডিএমটিসিএল।

প্রকল্প সূত্র জানিয়েছে, মেট্রোরেল প্রকল্পের জন্য ২৪ সেট ট্রেন তৈরি করছে জাপান। প্রতি সেট ট্রেনের দুপাশে দুটো ইঞ্জিন থাকছে। আর মধ্যে থাকবে চারটি করে কোচ।

দ্বিতীয় সেট ট্রেনটি জাপান থেকে ১৫ এপ্রিল রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে। এটি ঢাকায় পৌঁছাতে পারে ১৬ জুন। তৃতীয় ট্রেনটি ১৩ জুন রওনা দিয়ে ১৩ আগস্ট ঢাকায় পৌঁছানোর কথা। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হবে দ্রুত। এরইমধ্যে প্রকল্প এলাকায় পাঁচটি রেলস্টেশন প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।

জাপানের কাওয়াসাকি-মিতসুবিশি ট্রেনগুলো তৈরি করেছে। একেকটি ট্রেনের দাম পড়ছে ৩ হাজার ২০৮ কোটি ৪২ লাখ টাকা করে। শুল্ক ও ভ্যাট মিলিয়ে এসব ট্রেন বাংলাদেশে আসার পর মোট খরচ পড়বে ৪ হাজার ২৫৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা করে।

ট্রেনগুলোয় ডিসি ১৫০০ ভোল্ট বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা থাকবে। স্টেইনলেস স্টিল বডির ট্রেনগুলোয় থাকবে লম্বালম্বি সিট। প্রতিটি ট্রেনে থাকবে দুটি হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রতিটি বগির দুপাশে থাকবে চারটি করে দরজা। জাপানি স্ট্যান্ডার্ডের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংবলিত প্রতিটি ট্রেনের যাত্রী ধারণক্ষমতা হবে এক হাজার ৭৩৮ জন। মেট্রো রেলপথটি হবে উড়াল রেলপথ। প্রায় ২০ কিলোমিটার রেলপথটি পরে কমলাপুর পর্যন্ত বর্ধিত হবে।

573 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন