২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

জুড়ীতে নদী ভাঙ্গন রোধ ও রাস্তা মেরামতের দাবিতে ১৫দিনের আল্টিমেটাম

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২১

ফেইসবুক শেয়ার করুন

মঞ্জুরে আলম লাল ঃ মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার জুড়ী-ফুলতলা-বটুলী স্থলবন্দর রাস্তা মেরামত ও পূর্ব বটুলী গ্রামের রাস্তা নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষার দাবিতে পূর্ব বটুলী এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় অনুষ্টিত মানববন্ধনে বক্তারা ১৫দিনের মধ্যে রাস্তা মেরামতের কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে স্থলবন্দর রাস্তা বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দেন।
স্থানীয় বটুলী আনোয়ারুল উলুম ইবতেদায়ী মাদ্রাসার সভাপতি আব্দুুস ছামাদের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে স্থানীয় ইউপি সদস্য মঈন উদ্দিন, এম এ মতিন মতি, আমির হোসেন, আবু হানিফ, ইয়াকুব আলী, আসুক মিয়া, মকবুল মিয়া, মদরিছ আলী, বদরুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বলেন- বটুলী চেক পোস্টের নিকট থেকে পূর্ব বটুলী গ্রামের রাস্তাটি দীর্ঘদিন থেকে নদী ভাঙ্গন কবলিত। রাঘনা ছড়া নদীটি পশ্চিম দিকে ভেঙ্গে বাংলাদেশের বেশ কিছু অভ্যন্তরে ঢুকে বিশাল বাঁক নেয়ায় ছড়ার পূর্ব দিকের মূল অংশ ভরাট হয়ে ভারতীয় ভূখন্ডের সাথে মিশে যাচ্ছে। অপরদিকে নতুন বাঁক নেয়া অংশের ভাঙ্গনে পূর্ব বটুলী গ্রামের একমাত্র রাস্তায় ইবতেদায়ী মাদ্রাসার সামনের অংশ ৩/৪শত ফুট নদীতে বিলীন হয়ে মাদ্রাসার সীমানা দেয়ালে লেগে গেছে। যে কোন সময় এ দেয়াল ও রাস্তার অপর অংশে ভাঙ্গন দেখা দিতে পারে। রাস্তার এ অংশটি ভেঙ্গে পায়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় স্থানীয়রা মাদ্রাসার এক পাশের সীমানা দেয়ালের কিছু অংশ ভেঙ্গে মাদ্রাসা আঙ্গিনার ভেতর দিয়ে চলাচল করছেন। বিকল্প কোন রাস্তা না থাকায় এ এলাকার প্রায় ২শত পরিবারের প্রায় ৬শত মানুষ অমানুষিক দুর্ভোগে পড়েছেন। পাশাপাশি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)’র টহল কাজে বিঘœ ঘটছে। নদী ভাঙ্গন রোধে ২০১৬ সালে ফুলতলা ইউপি চেয়ারম্যান ফয়াজ আলী বল্লী গেড়ে ও স্থানীয়রা গড় দিয়ে ভাঙ্গন প্রতিহতের চেষ্টা করেন। কিছু দিন পর সেগুলো নদীতে দেবে যায়। ২০১৯ ও ২০২০ সালে ফুলতলা ইউপি চেয়ারম্যান মাসুক আহমদ দুই কিস্তিতে ভাঙ্গন রোধে পাকা দেয়াল তৈরি করেন। কিছু দিন পর সেটিও নদী ভাঙ্গনে ধসে যায়। অতিদ্রুত এ ছড়াটি মুল পথে ফিরিয়ে না নিলে পুরো গ্রামটি নদীতে বিলীন হয়ে ভারতের অংশে মিশে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অপরদিকে ফুলতলা-বটুলী ৬কিলোমিটার রাস্তা মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। দ্বিগুণ ভাড়া দিলেও কোন যানবাহন, অ্যাম্বুল্যান্স খুব সহজে এ এলাকায় যেতে চায়না। ৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে জুড়ী-ফুলতলা-বটুলী স্থলবন্দর রাস্তা মেরামত কাজের মেয়াদ এক বছর আগে শেষ হয়ে গেলেও ঠিকাদার এখনও ফুলতলা-বটুলী ৬কিলোমিটার অংশে কাজ শুরু করেনি। রাস্তার এক পাশে কিছু ড্রেন করে ফেলে রেখেছে। যে কারণে মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁচেছে। ভুক্তভোগী এলাকাবাসী আগামী ১৫ দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে নদী ভাঙ্গন রোধ ও রাস্তা মেরামতের দৃশ্যমান কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে বটুলী স্থলবন্দর রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হবে।

440 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন