১৭ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার

কুলাউড়ায় লাশ সংরক্ষনাগার প্রতিষ্টায় প্রবাসীদের প্রশংসনীয় উদ্যোগ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২০

ফেইসবুক শেয়ার করুন

এস.আর.চৌধুরী অনি :: কুলাউড়া উপজেলার আমেরিকা প্রবাসীদের উদ্যোগে মৃত ব্যক্তির লাশ সংরক্ষনের জন্য ‘লাশ রাখার ঘর’ স্থাপনের এক মহতী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রবাসী কমিউনিটি লিডার এনামুল ইসলাম জানান একজন মুসলমান মারা গেলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দাফনের কথা বলা আছে। এছাড়া পরোক্ষভাবে বিশেষ অবস্থা ও ক্ষেত্রে সময় নিতে আলিম-উলামাগনেরর জোড়ালো কোন আপত্তি নেই। বাস্তবতা হলো কুলাউড়ার শত শত মানুষ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রয়েছেন। অতি আপনজন দেশে মারা গেলে তাদের সন্তানগন বা নিকট আত্মীয় জানাজা ও দাফনে শরীক হতে পারেন না দূরত্বের কারনে। দেশের মধ্যেও দূরদুরান্ত থেকে আত্মীয় স্বজন আসতে এক/দুদিন অপেক্ষা করতে হয়। প্রচন্ড গরম বা বৃষ্টি-বন্যার কারনেও অনেক সময় লাশ দাফন বিলম্বিত করতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে লাশ সংরক্ষনের জন্য কুলাউড়ায় কোন ব্যবস্থা নেই। এ চিন্তাধারা থেকে প্রবাসী কমিউনিটি লিডাররা দেশ-বিদেশের সকলের সহযোগিতায় কুলাউড়া উত্তরবাজারস্থ আহমদাবাদ মাদ্রাসা ও এতিমখানায় একটি “ফিউনারেল বা লাশ রাখার ঘর ” স্থাপনের জন্য এক উদ্যোগ গ্রহন করেছেন। তিনি আরও জানান, এটি হবে একটি অলাভজনক প্রকল্প। ব্যবহারের সময়কালের বিদ্যুতের ও অন্যান্য রক্ষনাবেক্ষন জন্য একটি নির্দিষ্ঠ বিল ব্যবহারকারীদের পরিশোধ করতে হবে। অতিরিক্ত পরিশোধিত টাকা এতিমখানায় খরচ করা যাবে। প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে কমিউনিটি লিডার নিউইয়র্কের মোঃ তজম্মুল আলীর বাসায় ঘরোয়া এক সভা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কমিউনিটি লিডার লুৎফুর রহমান চৌধুরী হেলাল, মোঃ তজম্মুল আলী, লেঃ কর্নেল (অবঃ) শফি আহমদ, এনামুল ইসলাম, শাহেদ দেলোয়ার চৌধুরী, হেশাম চৌধুরী, ইকবাল আহমদ, মইনুুর রহমান শুয়েব, জাবেদ খসরু, জাবেদ আহমদ, আলাউদ্দিন আহমদ, আলতাফ আহমদ প্রমুখ। করোনা পরিস্থিতির কারনে বিধিনিষেধ থাকায় সভায় অনেকেই উপস্থিত না হয়ে সম্মতি প্রকাশ করেছেন।
সভায় নিউইয়র্কস্থ কমিউনিটি লিডার লুৎফুর রহমান চৌধুরী হেলালকে আহ্বায়ক ও অন্যান্যদের সদস্য করে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া সভায় এনামুল ইসলাম, ইমরান আহমদ ও মহসিন চৌধুরীসহ তিন জনের নামে কুলাউড়ার একটি ব্যাংকে একাউন্ট খুলে দেশে ও প্রবাসে অবস্থানকারী কুলাউড়াবাসীর কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করার এবং এনামুল ইসলামকে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য কো-অডিনেটর হিসাবে দায়িত্ব পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

1357 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন