২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

পেটে দিলে পিঠে সয়। এম.আতিকুর রহমান আখই

প্রকাশিত: এপ্রিল ৩০, ২০২০

ফেইসবুক শেয়ার করুন

সারা বিশ্বের বিস্ময়কর এক মহা আতঙ্কের নাম করোনা ভাইরাস, যা খালি চোখে দেখার ক্ষমতা কারো নেই। চীন থেকে প্রস্ফুটিত হওয়া এই ক্ষমতাধর ভাইরাসের কারনে সম্পুর্ন রুপে পাল্টে গেছে সৃষ্টি জগতের সকল কর্মকান্ড। অর্থ, বিত্ত, অস্ত্র বুদ্ধি বিবেক সব আজ কর্মহীন।
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধকল্পে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে বর্তমানে সাধারণ ছুটির নামে চলছে লক ডাউন। সরকারের অতি প্রয়োজনীয় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া বাকি সব কিছুই বন্ধ, মিল কল কারখানা দোকান পাঠসহ কর্মজীবী মানুষের অর্থ উপার্জনের সকল রাস্তাই বন্ধ। অসহায় দিন মজুর লক্ষ লক্ষ মানুষ অনাহারে অর্ধাহারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। সরকারের পক্ষ থেকে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
লক ডাউন দির্ঘ মেয়াদি হওয়ার কারণে জন জীবন অতিষ্ট হয়ে উঠছে, বিশেষ করে যারা ভাড়াটিয়া হিসেবে আছেন তারা মহা সংকটে পড়েছেন। একদিকে পরিবারের সদস্যদের খাবার দেয়ার আর্তনাদ আর অন্য দিকে মালিক পক্ষের ভাড়া পরিশোধের চাপ। বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে, মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের সংখ্যাই বেশি। জন সংখ্যা অনুপাতে চুরি ডাকাতি বা ছিনতাই এর পরিমাণ কম,তার কারন দেশের মানুষ কম বেশি সবাই কর্মজীবী বা কিছু না কিছু একটা করছেন বেঁচে থাকার তাগিদে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে এ ধারা ধরে রাখা অত্যান্ত জটিল হয়ে পড়বে বলে বিশিষ্ট জনের ধারনা। পরিবারের মুখে আহার তুলে দিতে অনেকেই অনেক অনৈতিক পথ বেচে নেয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায়না। এতে করে চুরি ডাকাতি বা ছিনতাই এর মতো ঘটনা ঘটবে এবং আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার মতো পরিস্থিতি পরিলক্ষিত হতে পারে। সিলেটি একটা প্রবাদ আছে যে,ফেটরভুকে বাঘুনীয়ে তাইর বাচ্চা ধরিয়া খাইছে ( পেটের দায় বাঘুনী নিজ বাচ্চা ধরে খেয়ে ফেলেছে)।
অতএব অতিদ্রুত সকলের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দিতে না পারলে লক ডাউন কার্যকর করা সম্ভব হবেনা এবং আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতেও বিঘœ ঘটবে। কথায় আছেনা পেটে দিলে পিঠে সয়। (সিলেটি ভাষায় বলে ফেট ভরিয়া খানি দিলে ফিট ভরিয়া কিলাও)।

763 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন