২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

কুলাউড়া নবীনচন্দ্র সরকারি স্কুলের দরিদ্র শিক্ষার্থী-নিম্ন বেতনভোগীদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

প্রকাশিত: এপ্রিল ৭, ২০২০

ফেইসবুক শেয়ার করুন

অনি চৌধুরীঃ করোনাভাইরাস জনীত ভয়াবহ মহামারী ও দূর্যোগে প্রশংসনীয় খাদ্য সামগ্রী বিতরন করে কুলাউড়া নবীনচন্দ্র সরকারী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। শিক্ষকদের নিজস্ব অর্থায়নে নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অসংখ্য দরিদ্র শিক্ষার্থীর পরিবার ও নিম্ন বেতনভোগী কর্মচারীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে উপহার স্বরূপ পৌছে দিলো খাদ্য সামগ্রী। সেইসাথে কিছু সংখ্যক স্থানীয় অসহায় জনগোষ্ঠীর মধ্যে নগদ অর্থও বিতরন করেছে বিদ্যালয়টি। তাদের এ মহতী উদ্দোগ সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আমির হোসেন সোমবার সকাল ৯টায় বিদ্যালয়ের কর্মচারীদের এবং একজন শিক্ষার্থীকে নিরাপদ সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে, সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক কোন লোক সমাগম না করে একজনের প্রস্থানের পর আরেকজনকে উপস্থিত করে জীবাণুনাশক দিয়ে পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
পরে বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মোবারক হোসেনের তত্বাবধানে ও সহকারি শিক্ষক সোহেল আহমদের নেতৃত্বে সিনিয়র শিক্ষক মুনীর আহমদ চৌধুরী, সিনিয়র শিক্ষক আলতাফ হোসেন, সিনিয়র শিক্ষক সাজ্জাদ হোসেন, সিনিয়র শিক্ষক সেলিম আহমদ, সহকারি শিক্ষক ফয়েজ আহমদ, সহকারি শিক্ষক সুদর্শন রাম মালাকার, সহকারি শিক্ষক শামসুল ইসলাম, সহকারি শিক্ষক মিসেস হুসনে আরা, সহকারি মৌলভী (খন্ডকালীন) মাওলানা আব্দুল মুকিত খান, খন্ডকালীন শিক্ষক মুনীম আহমদ চৌধুরীর মাধ্যমে এবং বিদ্যালয়ের প্রাক্তন স্কাউট ও নবীন শক্তি মুক্ত স্কাউট দলের ইউনিট লিডার হোসাইন আহমদ, বিদ্যালয়ের গেইট কিপার কামাল আহমদ, আয়া সুফিয়া বেগম, শিক্ষার্থী ও স্কাউট কাকলী বেগম, প্রাক্তন ছাত্র সাহাবু্দ্িদনের সহযোগীতায় শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের বাড়ি বাড়ি দূর্যোগকালীন সময়ে উপহার হিসেবে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেয়া হয়। খাদ্য সামগ্রী হিসেবে প্রতিজনকে ৫ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, ১ কেজি পিয়াজ, ১/২ কেজি মসুর ডাল, ১/২ লিঃ সোয়াবিন, ১ টি জীবানুনাশক সাবান দেয়া হয়েছে। এছাড়া প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে নগদ ৩ শত টাকা করে কয়েকজন অভিভাবককে অর্থ সহায়তা দেয়া হয়েছে। এ উদ্যোগে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকমন্ডলী, অফিস সহকারি ও একজন কর্মচারী অর্থায়ন করেছেন।

প্রধান শিক্ষক মোঃ আমির হোসেন জানান তাদের এ ব্যতিক্রমী কার্যক্রমে খাদ্য সামগ্রী প্রদানের সময় গ্রহীতাদের কোন ছবি তুলা হয়নি। শিক্ষকরা মনে করেন শিক্ষার্থীরা একদিন নিজের পায়ে সচ্ছলভাবে দাড়াবে ও সমাজকে সহযোগীতা করবে। তিনি বলেন তারা আমাদের কাছে কোন সাহায্য চায়নি বরং আমরাই আমাদের শিক্ষার্থীর অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ- খবর নিয়ে সামান্য কিছু উপহার সামগ্রী তুলে দিয়েছি। সেই সাথে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন জীবন যাপন করতে এবং সরকারি নির্দেশনায় সামাজিক দুরত্ব ও নিরাপদ হোম কোয়ারেন্টাইন মেনে চলতে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।

1214 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন