২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

মৌলভীবাজারে টিভিসির পণ্য বিক্রি নিয়ে হতাশ ক্রেতারা: ডিলার সিন্ডিকেট চক্র সক্রিয়: ভোক্তা‘র জরিমানা

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৯, ২০১৯

ফেইসবুক শেয়ার করুন

গ্রাহককে পরিমাণমত পেঁয়াজ না দেওয়া এবং ক্ষেত্র বিশেষে কোন কোন গ্রাহককে বস্তার বস্তা পেঁয়াজ দেওয়ার অভিযোগে টিসিবির ডিলার মেসার্স খালেক এন্ড ব্রাদার্সকে ২০হাজার টাকা জরিমানা করেছে মৌলভীবাজার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির পর সাধারণ জনগণের পেঁয়াজের চাহিদা মেটাতে টিসিবির মাধ্যমে মৌলভীবাজারে গত ১মাস ধরে পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে। মৌলভীবাজার পৌরসভা এবং সার্কিট হাউজের সামনে টিসিবির ডিলার মেসার্স খালেক এন্ড ব্রাদার্সের মাধ্যমে প্রতিদিন পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে।কিন্তু পেঁয়াজের চাহিদা প্রচুর থাকায় নানা অভিযোগ উঠে মেসার্স খালেক এন্ড ব্রাদার্সের বিরুদ্ধে। গ্রাহককে প্রয়োজনে ৬ কেজি পর্যন্ত পেঁয়াজ দেওয়ার কথা থাকলে তা দেওয়া হয়না এবং বিভিন্ন দোকানে বস্তাভর্তি পেঁয়াজ গোপনে বিক্রি করা হয়ে। গতকাল রবিবার বিকেলে টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রির সময় মৌলভীবাজার পৌরসভার সামনে একটি রিক্সায় করে ২ বস্তা পেঁয়াজ নিয়ে যাওয়ার সময় রিক্সাটি আটক করে মৌলভীবাজার ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো: আল-আমিনকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে মেসার্স খালেক এন্ড ব্রাদার্সকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।এ দিকে অভিযোগ রয়েছে গত সপ্তাহেও ৩ বস্তা পেঁয়াজ রিক্সায় করে একটি দোকানে গোপনে বিক্রি করা হয়েছে।তবে এই অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে মেসার্স খালেক এন্ড ব্রাদার্সের সত্ত্বাধিকারী আব্দুল খালেক জানান, পেঁয়াজ বিক্রি করার জন্য আমাদের উপর প্রচুর চাপ আছে। কেউ যদি ২/৩ বার লাইকে দাঁড়িয়ে পেঁয়াজ নেয় এবং পরে সব পেঁয়াজ এক করে বস্তায় ঢুকায় এই ক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার নেই । আজকের ঘটনাটাও সেভাবেই ঘটেছে। গোপনে বিভিন্ন দোকানে পেঁয়াজ বিক্রির ঘটনাকে তিনি ভিত্তিহীন অভিযোগ বলে জানিয়েছেন।এ অভিযোগের বিষয়ে টিসিবির আঞ্চলিক কর্মকর্তা (সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ) ইসমাইল হোসেন বলেন, আমি জেনেছি অভিযোগটির ব্যাপারে খুঁজ নিয়ে দেখব। নিশ্চয় কোন কারণ আছে নয়তো জরিমানা করার কথানা।মৌলভীবাজার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো: আল-আমিন জানিয়েছেন অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে এর সত্যতা পেয়েছি এবং দুইবস্তা পেঁয়াজ অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার প্রমাণ পেয়ে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছি। উল্যেখ্য যে,মেসার্স খালেক এন্ড ব্রাদার্সকে বিগত রমজান মাসে জরিমানা প্রদান করা হয়েছিল। এভাবে একের পর এক সরকারের টিভিসির পণ্য বিক্রয়ে ঘাপলা করলেও ডিলারদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা। অভিযোগ রয়েছে মেসার্স খালেক এন্ড ব্রাদার্সের সাথে শহরের বিভিন্ন বুসিমাল দোকানের সখ্যতায় প্রায়ই টিভিসির পণ্য দোকোনে পৌছে দেয়া হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ ডিলারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করে সরকারের সফলতাকে যাতে ব্যাঘাত ঘটাতে না পারে সেজন্য দৃষ্টি রাখার আহবান জানান ক্রেতারা।

398 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন